Thursday 3 August 2023

"প্রেম যে স্থায়ী হয়"

কফি শপে একটি অল্প বয়স্ক দম্পতি, মোনালি এবং ঋজু একটি ছোট টেবিলে একে অপরের পাশে বসে কফিতে চুমুক দিচ্ছে।

মোনালি-
আমার মনে আছে যখন আমরা প্রথম ডেটিং শুরু করি, সবকিছুই এত নিখুঁত ছিল যে আমরা এত প্রেমে পড়েছিলাম, মনে হয়েছিল আমাদের মধ্যে কিছুই কোনো বাধা আসতে পারে না।

আমরা মোনালির চোখে ভেসে আসে ঋজু আর সে যে তারা পিকনিক করছে, একসাথে গেম খেলছে এবং পার্কে হাঁটছে।তারা হাসছে, মজা করছে খুনসুটি এবং একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করছে।

মোনালি-
কিন্তু কিছু সময় যেতে যেতে, আমরা জীবনের পথ খুঁজে পেয়েছি,আমরা বড় এবং ছোট উভয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং মনে হচ্ছে যে আমরা সেই ভালবাসা হারাচ্ছি যা একসময় আমাদের একত্রিত করেছিল।

একদিন মোনালি তার সোফায় বসে আছে, বিষণ্ণ এবং পরাজিত দেখাচ্ছে। ঋজু উদ্বিগ্ন তাকিয়ে, ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে বললো

ঋজু-
কি হয়েছে, মোনা? তোমার মন খারাপ দেখাচ্ছে চেহারা কেমন উদাস লাগছে!

মোনালি-
আমার মনে হচ্ছে আমরা সেই স্ফুলিঙ্গ হারিয়ে ফেলছি যেটা আমরা আগে একসাথে ছিলাম। মনে হচ্ছে আমরা শুধু গতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।জীবন টা ব্যস্ততায় কেটে যাচ্ছে,

ঋজু মোনালি র পাশে বসে তার মাথায় হাত নেয়।

ঋজু-
মোনালি, আমি তোমাকে জানতে চাই যে তোমার প্রতি আমার ভালবাসা কখনই পরিবর্তন হবে না। জীবনে আমাদের চলার পথে যাই হোক না কেন, আমি সর্বদা তোমার জন্য এখানে থাকব।তোমার থাকবো।

মোনালি ঋজু এর চোখের দিকে তাকায় এবং সেখানে ভালবাসা এবং সংকল্প দেখে। সে বুঝতে পারে যে তাদের "ভালবাসা"যে কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে তার চেয়ে শক্তিশালী।

কিছু দিন পর মোনালি এবং ঋজু হাতে হাত রেখে হাঁটছে, হাসছে। তাদের একে অপরের প্রতি ভালবাসা এবং উপলব্ধির নতুন অনুভূতি রয়েছে।

মোনালি-
আমি শিখেছি যে ভালবাসা শুধুমাত্র ভাল সময় সম্পর্কে নয়, এটি গভীর এবং হালকা একটা মাধ্যম যা দুজনের মাঝখানে র একটা সুন্দর অংশ,একে অপরের পাশে দাঁড়ানো সম্পর্কে।আর এটাই ভালোবাসা,এভাবেই ভালোবাসা স্থায়ী হয়।
  
   14 March 2023

আতঙ্কিত রাতের কথা

বিপাশা একা একা বাড়ি ফিরছিল।
সে কয়েক বছর বাড়ির বাইরে মানে শহরে গিয়েছিল তার চাকরির ট্রেনিং এর জন্য,আজ ট্রেনিং শেষ হতেই তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরতে গিয়ে ট্রেন টা লেট করলো আর দেরি হয়ে গেলো।
এখন প্রাই রাত ১০ বাজে,রাস্তাঘাট নির্জন ছিল,কেউ কোথাও নেই শেষ বাসে করে বাড়ির রাস্তায় তাকে নামিয়ে দিলো।এখান থেকে
তার বাড়ি প্রাই ১৫ মিনিট হাটতে হয় কিন্তু এতো টা পথ কোনো জনমানস নেই একা একা অনেক দিন পর সে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিল কিন্তু এইসব চিন্তা করতেই সে একমাত্র শব্দ শুনতে পাই তা হল পাতার গর্জন।সে ভয় পেলো বুকটা তার ভাড় হয়ে এলো,সে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ শুনতে পেল কেউ তার নাম ধরে ডাকছে।তার হাত ঠান্ডা হতে লাগলো,ডিসেম্বর মাসের ঠান্ডা একটুও হাওয়া নেই তাও সে ঘেমে উঠলো।
এইসব এর মধ্যে সে তার নাম টা শুনতে পেলো খুব চেনা কণ্ঠে।
(আনবিক)
বিপাশা ওই বিপাশা কি রে দাড়া দাড়া একটু ওই..
সে বুঝতে পেলো তার পুরানো বন্ধু,আনবিক,যাকে সে কয়েক বছরের পর বছর দেখেনি।এবার সে একটু গা ছমছম ভাব টা কাটিয়ে উঠলো!
আনবিক তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলো -
এতো দিন পর এতো রাতে কোথায় যাচ্ছিস!
বিপাশা ব্যাখ্যা করে বললো যে সে বাড়ি যাচ্ছে,
বিপাশা বললো - এইতো আজ ই আমার ট্রেনিং শেষ হলো তাই আর দেরি না করে বাড়ি চলে আসলাম কিন্তু কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আজই ট্রেন টা লেট করলো তাই আমার বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে গেলো।
আনবিক তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিলো,
আনবিক বললো - চল আমি তোকে পৌঁছে দিই তোর বাড়ি এতটা পথ তুই একা যাবি..
বিপাশা তার পুরানো বন্ধুকে দেখে খুশি হয়েছিল এবং তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল।
বিপাশা বললো - বা! এটা ভালোই হয়েছে একটু গা ছমছম করছিল ঠিকই সত্যিই তুই আছিস এখন আর চিন্তা নেই,গল্প করতে করতে সময় কেটে যাবে,চল তাহলে!
তারা পুরানো সময়ের কথা বলেছিল এবং একে অপরের জীবনের কথায় সাথে জড়িয়ে গেল।

আনবিক তাকে বলছিল যে সে শহরে ফিরে গেছে এবং এখন একটা দোকানে কাজ করছে।চাকরি পাইনি তাই এই অবস্থা নিজেকে চালাতে গেলে কিছু তো করতেই হয়।
বিপাশা বললো - ভালো করছিস শুনে খুশি হলাম।
তারা যখন বিপাশার বাড়ির কাছাকাছি প্রায়ই চলে এসেছিল,তারা লক্ষ্য করল যে কিছু একটা ভুল হয়েছে।রাস্তার আলো জ্বলছিল কিন্তু একটা ভয়ঙ্কর নীরবতা ছিল সেখানে। আনবিক বিপাশা কে সাবধানে থাকতে বললো এবং ব্যাপার টা ঠিক কি সেটা যাচাই করতে গেলো।
আনবিক বললো - তুই দাড়া একটু আমি ব্যাপার টা একটু দেখে আসি অসুবিধা হবে না,আমি আসছি!
কয়েক মিনিট পরে,বিপাশা একটু এগিয়ে যেতেই বিকট শব্দ শুনতে পেল,তারপরে একটি বেদনাদায়ক আর্তনাদ।
বিপাশা ছুটে গেলো যেখানে আণবিক ছিল,শুধুমাত্র তাকে মাটিতে শুয়ে থাকতে দেখতে পায়।
বিপাশা আতঙ্কিত হয়ে উঠল এবং তাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিল,কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।আণবিক মারা গিয়েছে।
বিপাশা হতবাক হয়ে পড়ল,সে এখন কী করবে বুঝতে পারছিল না। সে কিছুক্ষণ পর তার থমথমে ভাব টা কাটিয়ে তার বাড়ির পাশের মানুষদের কে জানালো ব্যাপারটা,
সেখান কার মানুষেরা পুলিশকে ডাকা হলো,এবং আনবিক এর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো,বিপাশা ও সাথে গিয়েছিল।
ও দিকে অফিসাররা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে আণবিক একজন অজ্ঞাত আততায়ীর দ্বারা আক্রমণ ও হত্যা হয়েছে।
সেদিন রাতের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী জানাযায় যে আনবিক বিপাশা র সাথে দেখা হওয়ার প্রায় আধঘন্টা আগে নিহত হয়েছে।
বিপাশা এমন খবর শুনে হতবাক হয়ে গেলো
সে ভাবলো - এটা কি করে সম্ভব,!নিশ্চয়ই ডাক্তারের রিপোর্টে কোনো ভুল হয়েছে,
বিপাশা সেদিন সারারাত এই ঘটনা র কোনো একটা ঠিক সিধান্তে আসতে পারছিল না।

এদিকে আনবিক এর মৃত্যুর খবর ছোট শহরকে নাড়া দিয়েছিল এবং বিপাশা ওই দিন থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল।
সে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তার পুরানো বন্ধু চলে গেছে,যার সাথে সে ছোটো থেকে কতো সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছে, সবরকম অবস্থা তেই তার পাশে ছিল আনবিক সে যেরকম ই পরিস্থিতি হোক না কেন!কিন্তু সে তার যোগ্য দাম কখনো দিতে পারিনি সে কখনো আনবিক কে জানাতে পারেনি সে তাকে মন থেকে চাইতো, সে জানতো তারা মনে মনে দুজনেই দুজন কে খুব ভালোবাসতো সম্মান করতো, কিন্তু সে নিজেকে অপরাধী মনে করেছিল যে সে তাকে বাঁচাতে কিছুই করতে পারেনি।তাছাড়া ও সে ডাক্তারের রিপোর্টে র কথাটাও মন থেকে মুছে ফেলতে পারছিল না।সে ভেবে দেখলো ছোট থেকেই আনবিক তার জন্য যে কোন বিপদ ই হোক না কেন কেউ পাশে না আসলে আনবিক সবসময়ই তার পাশে থেকেছে তাকে সবরকম ভাবে সাহায্য করেছে।সেদিন রাতেও আনবিক তার ভয়ের সঙ্গী হয়ে তাকে সাতে থেকেছে কিন্তু সে যে মানুষ টার সাথে এতো কথা বললো সে কি জীবিত ছিল না অন্যকিছু সে আর ভাবতে পারেনা বুকটা তার ভার হয়ে আসে চোখ ছলছল করে উঠে।

মাস কেটে যায়, এবং আনবিক হত্যার তদন্ত ঠান্ডা হয়ে যায়।
বিপাশা জীবনের নিয়মে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল,কিন্তু সেই রাতের স্মৃতি তাকে তাড়িয়েবেড়িয়েছে দিনের পর দিন।
সে প্রায়ই ভাবত যে সে যদি একা বাড়িতে হেঁটে যেতো,বা যদি সেদিন তাকে একা ছেড়ে না যেতো সাথে আরও কিছুক্ষণ থাকতে পারতো তবে কী এমনটা হত?সেদিন ঠিক কোন ঘটনা টা আগে ঘঠেছিল আণবিক এর মৃত্যু না কি তার সাথে ভয়াবহ রাত কাটানো মূহুর্ত!
শেষ পর্যন্ত, বিপাশা জীবনের এই ঘটনা জীবনে মানুষ টার প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান বাড়িয়ে দেয় এমন কি আনবিক এর কাছে শুধু মুখ বুঝে তার সবসময় পাশে থাকা তাকে সাহায্য করা সত্যি এমন মানুষ সত্যি ই কি হতে পারে যে কিনা মৃত্যুর পরেও তার কর্তব্যের কথা ভুলে যায়নি তার এমন ভালো রেখে ভালোবাসা তার দাম টা সে কখনো দিতে পারবে না এই জীবনের ঋণের বোঝা নিয়ে তাকে বইতে হবে।বিপাশা আণবিক কখনও ভুলে যায়নি।কিন্তু জীবনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝে কতক্ষণ ই বা একটা মৃত মানুষ কে মনে রাখতে পারে মানুষ?

              রাজু সরকার (11 April 2023)

শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা

হালো!আণবিক?আমি বিপাশা বলছি! ওপার থেকে রং নাম্বার বলে রেখে দেয় ফোনের রিসিভার টা। আজ ওর কথা টা মনে পরতেই ওর পুরোনো নাম্বার টা ই ফোন করে ওর সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কেন যে এমন খামখেয়ালি অবান্তর ইচ্ছে হয় যার কোনো মানে নেই।। সত্যিই যানে নেই।

ওর সাথে আজ ১২ বছর হলো কথা নেই।একটা সময় ছিল যেমন করেই হোক আমার জন্মদিন টা তে সবার প্রথমে সে আমাকে শুভ জন্মদিন বলে আমাকে শুভেচ্ছা জানাতো

প্রত্যেক টা জন্মদিন এই নতুন নতুন ভাবে আমাকে উইশ করতো।একবার তো আমার বাড়ির দোতালায় ব্যলকনি তে রাত ঠিক ১২ টাই এসে এক গুচ্ছ গোলাপ দিয়ে বলেছিল তোর প্রত্যেক জন্মদিন এর জন্য একটা করে ফুল দিলাম। জানিনা পরের জন্মদিন গুলো তে থাকতে পারবো কিনা!সত্যি আজ সেই কথার মূল্য টা বুঝতে পারি কেন সে এমন বলেছিল।আজ রাত ১২ টা বাজলেই আমার জন্মদিন এর শুভেচ্ছা জানাবে
সমস্ত সোসাল প্লাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে ফেসবুকে থেকে আসবে নানা রকমের ম্যাসেজ উইশ শুধু আসে না তার ফোন টা।
জানি না কেন আজ খুব ইচ্ছে হচ্ছে পুরনো দিন টাই ফিরে যেতে বৃষ্টি র দিনে এক ছাতায় দুজনে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরতে, সেদিন তো আমি ছাতা আনতে ভুলেছিলাম বলে তুই শুধু আমার দিকে ছাতাটা ধরে আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এসেছিলি নিজে ভিজেছিলি আমি ভিজবো না বলে বৃষ্টি তে আমার শরীর খারাপ করবে তাই তখন কতই বা বয়স আমাদের তোর ১৬ আমার ১৭ তা যাই হোক প্রাইমারি স্কুল ছুটি হলেই যখন পুরো স্কুল টা ফাকা হয়ে যেতো আমি আর তুই কতক্ষণ যে বসে বসে গল্প করতাম তা আর সময় জ্ঞান থাকতো না সন্ধ্যা হলেই বাড়ি ফিরে যেতাম আজ কেন যে এতো বার করে সব এক এক করে মনে পরছে বুঝতে পারছিনা।আর মাত্র কয়েকটা মিনিট ব্যাস তারপর যতসব সমস্ত উইশের ভীড়ে হাজার কথার কোরাসে হারিয়ে যাবে তোর চিন্তা গুলো আবার ব্যাস্ত হয়ে পরবো জীবনের নিয়মে কিন্তু এই যে তোর কথা গুলো ভাবছি বেশ লাগছে
কিন্তু সময় টা যেন খুব তারাতাড়ি পার হয়ে যাচ্ছে। ওই শুরু হলো, ১২ টার ঘন্টা ঢং ঢং ঢং... হ্যালো কে

ওপার থেকে খুব চেনা একটা শব্দ ভেসে এলো ফোনের স্পিকারে

আমি কেপে উঠলাম সারা শরীর টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার

আণবিক? তুই এখনো বে....চে... 

হ্যা আমিই! না আমি বেচে আছি কি মরে গেছি জানিনা, তবে তুই যে আজ এতো করে আমাকে মনে করছিলি তা আমি তোর মনের ডাক গুলো শুনতে পেয়ে ঘুম টা নষ্ট হয়ে গেল ভেঙে গেল আমার গভীর নিদ্রা। শোন না শুভ জন্মদিন তুই অনেক অনেক ভালো থাক সুখে থাক আরো ১০০ বছর এই দিনটা তোর জীবনে আসুক সংসার র সত্যি ধন্যি মেয়ে তুই বাড়ির যোগ্য বৌ সারাদিন কতো কাজ করিস মুখ বুঝে সব কি সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়ে ছিস সকাল বেলা তোর বর কে ব্রেকফাস্ট টিফিন করে আবার মেয়ে কে তৈরি করে স্কুলে নিয়ে যাস আবার বাড়ি ফিরে শশুর কে সেবা করিস তার খেয়াল রাখিস অসুস্থ মানুষ টা তোকে কতো ভরসা করে সেও তো এতো দিন তোর যত্নের জন্য বেচে আছে নইলে তো কবেই চলে যেতো সবরকম পরিপূর্ণ অন্যনা তুই তোর মতো একজন তোর বর সত্যি ই ভাগ্যবান। যাই হোক আজ তোর ডাকে ঘুম থেকে জেগে গেলাম অনেক বছর ধরে ঘুমিয়ে ছিলাম ইসস সে কি ঘুম তুই এতো করে ডাকলি ঘুম টা না ভেঙে পারলো না।তোর ডাকে সাড়া না দিয়ে পারি?? আমি তো এমনই ছিলাম রে আমি শুধু তোর ই ছিলাম। যাই রে টাটা।চিন্তা করিস না আমিও ভালোই আছি গভীর নিদ্রার দেশে।টাটা।

আমার হাত থেকে তখন ফোন টা পরে গেলো আর আমার ১০ বছরের মেয়ে টা কখন যে এসে আমার কোলে বসে গালে চুমু দিয়ে Happy Birthday বলে দিল ব্যাস সেই যে আরো কতো ফোন আসতে শুরু করলো আমি ধন্যবাদ আর থাংকস দিয়ে পারিনা।
     
  1st March 2013/01:50PM